কোষ্ঠকাঠিন্য সারাবে ৫ অভ্যাস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

হেল্থ ডেস্ক

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কম বেশি আমাদের অনেকেই এ সমস্যায় ভুগে থাকেন।সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা পরিমাণে খুব কম মলত্যাগ, অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও মলত্যাগ না হওয়া এবং মল অস্বাভাবিক রকমের শক্ত হলে বুঝতে হবে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত কিছু অভ্যাস মেনে চললে এবং কিছু খাবারের মাধ্যমে কৌষ্ঠকাঠিন্যের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

পানি ও খাবার: প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেলে কৌষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো যাবে। পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।

 

দুশ্চিন্তা নয়: দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করতে হবে।

 

নিয়মত মল ত্যাগ: অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত মল ত্যাগ করতে চান না। আবার বেগ আসলেও বাথরুমে যেতে চান না, চেপে রাখেন। এসব বদাভ্যাস দূর করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

 

ইসবগুলের ভুসি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ইসবগুলের ভুসি। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছেন তারা সকালে নাস্তার আগে প্রতিদিন এই ভুসি খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে বেশ কাজে আসে।

 

চা-কফি বর্জন: কফি, পিৎজা, ফাস্ট ফুড বা পাস্তার মতো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চকলেট, ভাজাপোড়া, লাল মাংস (গরু, খাসি ইত্যাদি), চিপস, প্রচুর চিনিযুক্ত বেকারি খাদ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি কেক এবং আয়রন ক্যাপসুল, কাঁচাকলা ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো। তাছাড়া কিছু কিছু ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী (যেমন নিয়মিত আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, আয়রন বা ক্যালসিয়াম বড়ি)। তাই এসব ওষুধ একনাগাড়ে বেশিদিন না খাওয়াই ভালো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
All rights reserved www.mzamin.news Copyright © 2023