নন্দীগ্রামে ১০৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে বিশটিতে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে বিশটিতে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আশপাশের কোনো শহীদ মিনারে। অনেকে অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাতে শ্রদ্ধা জানান।

 

শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ২০ টিতে। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৮ টি, মাদ্রাসা ১৯ টি ও কলেজে রয়েছে ৭ টি। এ সব অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এ উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ৪৫ টি। কোনো কিন্ডারগার্টেন স্কুলেই শহীদ মিনার নেই।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তাতেও অযত্নে-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। প্রায় প্রতিটি শহীদ মিনার স্তম্ভ গাছের পাতা আর ধুলায় মলিন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে প্রতিবছর বাঁশ বা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো কোনোটিতে শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজনই হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।

 

শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা নন্দীগ্রামের শিক্ষার্থীরা, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাচ্ছিনা কোন স্থায়ী শহীদ মিনার। ফলে প্রতি বছরই এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আমাদের।

 

ওমরপুর মামদুদুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম আলী বলেন, নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে শহীদ মিনার স্তম্ভ ধুলা পড়ে অপরিস্কার হয়ে থাকে। তাই ২১ ফেব্রুয়ারির কয়েকদিন আগেই শহীদ মিনার ধুয়েমুছে পরিস্কার করা হয়।

 

ইউসুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অদ্বৈত কুমার সাহা বলেন, বিদ্যালয়ে ১২৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিদ্যালয় চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া দিবসটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হোক।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, এই উপজেলায় ১০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে বিশটিতে শহীদ মিনার রয়েছে। আর অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কোন স্থায়ী শহীদ মিনার।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
All rights reserved www.mzamin.news Copyright © 2023