কুয়েত থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের খবর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট

ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘিরে চলমান উত্তেজনার মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুয়েত নিউজ অ্যাজেন্সির (কুনা) টুইটার অ্যাকাউন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের খবর দেয়ার পর তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

তবে কুয়েত সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই খবর অস্বীকার করেছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলছেন, রাষ্ট্রীয় ওই সংবাদমাধ্যমের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে।

পরে কুনার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আরও একটি টুইট করা হয়। এতে বলা হয়েছে, কুয়েত থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারে কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে; তার সত্যতা অস্বীকার করছে কুনা। সামাজিক যোগাযােগমাধ্যমে (টুইটারে) আমাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে কুনার এক টুইটে বলা হয়, কুয়েতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরিফজানে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে ওই ক্যাম্পের কমান্ডারের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে কুয়েত থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

তবে একই দিনে ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেয়া স্পেনের সৈন্যদের সেখান থেকে সরিয়ে কুয়েতে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার পর কানাডার প্রতিরক্ষা প্রধান জোনাথন ভ্যান্স টুইটও বলেছেন, সতর্কতা হিসেবে ইরাক থেকে সাময়িকভাবে ৫০০ সৈন্য কুয়েতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ইরাক থেকে কিছু সৈন্য অন্য দেশে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো)। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।

এই হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে ৮০ জন মার্কিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে ইরানের এই দাবির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশি সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। ইরানি শীর্ষ এই সেনা জেনারেল হত্যাকাণ্ড ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বাজছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
All rights reserved www.mzamin.news Copyright © 2023